Saturday, September 3, 2016
Thursday, February 25, 2016
মাজার ব্যবসা জমজমাট
মাজার ব্যবসা জমজমাট
বস্তুা ভরা টাকা, আপনারা কি জানেন এই টাকা কোঁথায় যায়?
হায়রে আমার বোকা মানুষের দল, তুমাদের এই টাকা দিয়ে ভণ্ডরা আয়েশ করে মদ গাজা আর অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে, অথচ গরীবদের দান করলে তুমাদের কষ্ট লাগে.... :
আজকের এই দিনে কতো গরিব মানুষ না খেয়ে থাকে ও ঘর নাই বাড়ি নাই দেখার কোন মানুষ নাই ।
Sunday, February 21, 2016
চাটমোহরে বাল্যবিয়ে : মেম্বার, বরসহ ৫ জনের কারাদণ্ড
পাবনার চাটমোহরে বাল্যবিয়ের আয়োজন করার অভিযোগে ইউপি সদস্য, বর ও গ্রাম পুলিশসহ পাঁচ জনকে এক বছর করে কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার রাতে তাদের জেল-জরিমানা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের আক্কাস আলীর ছেলে বর মো. কাউসার আলী (২২), বরের পিতা গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আক্কাস আলী (৪৯), কুমারগাড়া গ্রামের রোস্তম মন্ডলের ছেলে উজ্জল হোসেন (৪৫), মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম (৪৬) ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে নূরুল ইসলাম (৫০)।
চাটমোহর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিদ্যুৎ কুমার পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে জানান, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের ফুরকান আলীর মেয়ে ও সেন্ট রীটাস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন খাতুন (১২) এর সাথে একই উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রামের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আক্কাস আলীর ছেলে কাউসারের বিয়ে ঠিক হয়। সেই মোতাবেক শুক্রবার রাতে কাউসার আত্মীয়-স্বজনসহ বিয়ে করতে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। বিয়ের কলেমা পড়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান মেয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। সেই সাথে বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে তাদেরকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন। এ সময় মেয়ের পিতা ফুরকান আলীসহ তার স্বজনরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
Saturday, February 20, 2016
গতিহীন নির্মাণে পথচারী ভোগান্তি
‘দৃষ্টিনন্দন’ একটি উদ্যোগের মুমূর্ষু দশার অন্যতম উদাহরণ হতে পারে ‘শহীদ আসাদ স্মৃতি জাদুঘর’। নির্মাণের মাঝপথেই গতি হারিয়েছে প্রকল্পটি। পরিত্যক্ত প্রকল্প এলাকা হয়ে উঠেছে মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয়, ময়লার ভাগাড় আর দখল রাজত্বের আরেক নাম।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রনেতা মোহাম্মদ
আসাদুজ্জামান আসাদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে ‘ঊনসত্তর
শহীদ আসাদ সরণিতে’ জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে।
ওই
বছরের ২০ জানুয়ারি নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন ঢাকার তৎকালীন মেয়র সাদেক
হোসেন খোকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।
প্রকল্পের
আওতায় রাস্তার ওপর চারতলা ভবনে জাদুঘর করার কথা রয়েছে। এজন্য রাস্তার ওপর
ভবনের প্রথম ফ্লোর এবং রাস্তার দুই পাশে দুটি করে চারটি সিঁড়ি যুক্ত করার
পর থেকেই কাজ থমকে আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১২ সাল থেকে বন্ধ আছে এর
কাজ।
প্রকল্পটি ঘুরে দেখা গেছে, একটি সিঁড়ি দখল করে বসানো হয়েছে কাপড়ের দোকান। আরেকটিতে মোবাইল ফোনের ফ্লেক্সিলোডের দোকান।
ফ্লেক্সিলোডের দোকানের মালিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দ্রুত দোকান বন্ধ করে দেন।
অন্য
দুটি সিঁড়িতে রিকশা মেরামত ও রান্নার নানা জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। এ
সিঁড়িকে কেন্দ্র করে পাশেই রিকশার গ্যারেজ গজিয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই বসে
অস্থায়ী দোকান।
স্থানীয়রা জানালেন, রাস্তার ওপর
অর্ধনির্মিত ফ্লোরে সন্ধ্যার পর ভীড় জমে মাদকসেবীদের। সিঁড়ির জঞ্জাল ঠেলে
সেখানে উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড় দেখে তার সত্যতাও মিলল।
চারপাশের
দোকানের মালিকরা বর্জ্য ফেলার জন্য বেছে নিয়েছেন জাদুঘরের পিলারের গর্তকে।
রাস্তায়ও ফেলে রাখা হয় বর্জ্য। স্থানটি ভবঘুরে আর মাদকসেবীদের
মলমূত্রত্যাগের স্থানে পরিণত হওয়ায় উৎকট গন্ধে পথচারীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত।
আরেক পথচারী জাহাঙ্গীর আলম
বলেন, “মূল রাস্তার পাশে এভাবে উন্মুক্তভাবে মূত্রত্যাগ হবে, ময়লা ফেলা
হবে- এটা কেমন কথা? দুই পাশের ব্যস্ত দুটি রাস্তার মধ্যে যেন ময়লার দ্বীপ
হয়ে ওঠেছে এখানে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানান, ওই এলাকায় প্রায়ই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নিয়মিত আবর্জনা
পরিষ্কার করা হয়।
“এজন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। জনগণ সচেতন না হলে কতদূর করা সম্ভব?’- বলেন সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা।
প্রকল্পের
কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে না পারলেও সিটি করপোরেশনের সাবেক
প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম টেলিফোনে জানিয়েছেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের
বিল ঠিকমতো পরিশোধ না করায় তারা কাজ বন্ধ রেখেছে।
প্রসঙ্গ যাদবপুর: স্লোগানে প্রশ্ন, হামলায় নীরব রাজ্যপাল
রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসছেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ছবি: প্রদীপ আদক।
অবাঞ্ছিত একটি ঘটনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এক দিন বাদে একই
জায়গায় ঘটা আর একটা অবাঞ্ছিত কাণ্ড রাজ্যপালের নজর এড়িয়ে গেল কী ভাবে,
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মহলে সেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে।
প্রথমটি হল যাদবপুরের পড়ুয়া-মিছিলে ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান। দ্বিতীয়টি ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকাধারী একদল যুবকের তাণ্ডবের ঘটনা। স্লোগান-কাণ্ডে কোনও এফআইআর রুজু করা হয়েছে কি না, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কিশোরীনাথ ত্রিপাঠী। এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছেন। মুখ্যসচিবের কাছে আচার্যের এ-ও জিজ্ঞাস্য, যে বা যাঁরা এমন স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি? কিন্তু তাণ্ডব প্রসঙ্গে তাঁর চিঠি নীরব।
যাদবপুরের উপাচার্যের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। নবান্ন রাজ্যপালকে কোনও রিপোর্ট দিচ্ছে কিনা কিংবা প্রশাসন কী ভাবছে, সে বিষয়ে কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। তবে যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। শুক্রবার রাজভবনে ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে এসে সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আচার্য রাজ্যপাল রিপোর্ট চেয়েছেন। অবশ্যই দেওয়া হবে। আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক। রাজ্যপাল যা যা জানতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে সে সবের রিপোর্ট দেওয়া হবে।’’
জেএনইউ-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হওয়া মিছিলে যাঁরা ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ কি এফআইআর করেছেন? কিংবা করার কথা ভাবছেন?
সুরঞ্জনবাবুর জবাব, ‘‘পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বিরোধী।’’ সেই পরম্পরা রক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে
উপাচার্যের পর্যবেক্ষণ, কোনও ছোট সংগঠন দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করলে তার দায়
চাপিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করা উচিত নয়। ‘‘আমি বিশ্বাস করি,
আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা যায়।’’— মন্তব্য সুরঞ্জনবাবুর।
শিক্ষক-কর্মী-পড়ুয়াদের নিয়ে এ বিষয়ে কনভেনশনের পরিকল্পনাও তাঁদের রয়েছে
বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে গত তিন দিন প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদের ঝড়ে টালমাটাল থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এ দিন ছিল পুরোপুরি শান্ত। নিয়মমতো সব ক্লাস হয়েছে। কোনও ছাত্র সংগঠন মিছিল বা বিক্ষোভ করেনি, নতুন পোস্টারও পড়েনি। তবে ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে পোস্টার সেঁটেছিল যারা, সেই ছাত্র সংগঠন ‘রাডিক্যাল’-এর এ দিন সম্মেলন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যেখানে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের এম টেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জুবি সাহা সাফ বললেন, ‘‘আমরা যা করেছি, বেশ করেছি। কোনও অনুতাপ নেই।’’
মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা রাজ্যপালের চিঠিতে অবশ্য আফজল গুরুর সমর্থনে পোস্টার পড়ার ঘটনার উল্লেখ নেই। ঠিক যে ভাবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকাধারী এক দল যুবকের ‘হামলাবাজির’ প্রসঙ্গটি ঠাঁই পায়নি। এবং তারই প্রেক্ষাপটে আচার্যের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। যেমন জুবির অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবারের স্লোগান নিয়ে উনি রিপোর্ট তলব করেছেন! অথচ পর দিন যে ভাবে জাতীয় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে হামলা হল, তার রিপোর্ট চেয়ে না-থাকলে বলতে হবে, রাজ্যপাল পক্ষপাতদুষ্ট কাজ করেছেন।’’ বস্তুত রাজ্যপালের ভূমিকা দেখে যাদবপুরের শিক্ষকমহলের একাংশও বিস্মিত। আর হামলার জন্য যাদের ছাত্র সংগঠনের দিকে আঙুল, সেই বিজেপি’র কী বক্তব্য?
এ দিন সুরঞ্জনবাবু রাজভবন ছাড়ার খানিক বাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী স্লোগান যারা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিদেশের উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর যোগ থাকতে পারে। তাই এনআইএ-তদন্তের দাবি করেছি রাজ্যপালের কাছে।’’ ঘটনার নেপথ্যে শিক্ষকদের একাংশেরও উস্কানি রয়েছে বলে রাহুলবাবুর অভিযোগ। পাশাপাশি পুরো বিষয়টিতে রাজ্য সরকার ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুলবাবু বলেছেন, ‘‘রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।’’
যাদবপুর প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে অবশ্য যথারীতি কুলুপই আঁটা রয়েছে।
প্রথমটি হল যাদবপুরের পড়ুয়া-মিছিলে ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান। দ্বিতীয়টি ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকাধারী একদল যুবকের তাণ্ডবের ঘটনা। স্লোগান-কাণ্ডে কোনও এফআইআর রুজু করা হয়েছে কি না, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কিশোরীনাথ ত্রিপাঠী। এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছেন। মুখ্যসচিবের কাছে আচার্যের এ-ও জিজ্ঞাস্য, যে বা যাঁরা এমন স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি? কিন্তু তাণ্ডব প্রসঙ্গে তাঁর চিঠি নীরব।
যাদবপুরের উপাচার্যের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। নবান্ন রাজ্যপালকে কোনও রিপোর্ট দিচ্ছে কিনা কিংবা প্রশাসন কী ভাবছে, সে বিষয়ে কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। তবে যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। শুক্রবার রাজভবনে ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে এসে সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আচার্য রাজ্যপাল রিপোর্ট চেয়েছেন। অবশ্যই দেওয়া হবে। আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক। রাজ্যপাল যা যা জানতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে সে সবের রিপোর্ট দেওয়া হবে।’’
জেএনইউ-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হওয়া মিছিলে যাঁরা ‘দেশবিরোধী’ স্লোগান দিয়েছেন, তাঁদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ কি এফআইআর করেছেন? কিংবা করার কথা ভাবছেন?
এ দিকে গত তিন দিন প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদের ঝড়ে টালমাটাল থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর এ দিন ছিল পুরোপুরি শান্ত। নিয়মমতো সব ক্লাস হয়েছে। কোনও ছাত্র সংগঠন মিছিল বা বিক্ষোভ করেনি, নতুন পোস্টারও পড়েনি। তবে ক্যাম্পাসে আফজল গুরুর সমর্থনে পোস্টার সেঁটেছিল যারা, সেই ছাত্র সংগঠন ‘রাডিক্যাল’-এর এ দিন সম্মেলন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যেখানে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের এম টেক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জুবি সাহা সাফ বললেন, ‘‘আমরা যা করেছি, বেশ করেছি। কোনও অনুতাপ নেই।’’
মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা রাজ্যপালের চিঠিতে অবশ্য আফজল গুরুর সমর্থনে পোস্টার পড়ার ঘটনার উল্লেখ নেই। ঠিক যে ভাবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকাধারী এক দল যুবকের ‘হামলাবাজির’ প্রসঙ্গটি ঠাঁই পায়নি। এবং তারই প্রেক্ষাপটে আচার্যের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। যেমন জুবির অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবারের স্লোগান নিয়ে উনি রিপোর্ট তলব করেছেন! অথচ পর দিন যে ভাবে জাতীয় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে হামলা হল, তার রিপোর্ট চেয়ে না-থাকলে বলতে হবে, রাজ্যপাল পক্ষপাতদুষ্ট কাজ করেছেন।’’ বস্তুত রাজ্যপালের ভূমিকা দেখে যাদবপুরের শিক্ষকমহলের একাংশও বিস্মিত। আর হামলার জন্য যাদের ছাত্র সংগঠনের দিকে আঙুল, সেই বিজেপি’র কী বক্তব্য?
এ দিন সুরঞ্জনবাবু রাজভবন ছাড়ার খানিক বাদে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী স্লোগান যারা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিদেশের উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর যোগ থাকতে পারে। তাই এনআইএ-তদন্তের দাবি করেছি রাজ্যপালের কাছে।’’ ঘটনার নেপথ্যে শিক্ষকদের একাংশেরও উস্কানি রয়েছে বলে রাহুলবাবুর অভিযোগ। পাশাপাশি পুরো বিষয়টিতে রাজ্য সরকার ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুলবাবু বলেছেন, ‘‘রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।’’
যাদবপুর প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে অবশ্য যথারীতি কুলুপই আঁটা রয়েছে।
ভাঙ্গুড়ায় র্যাব অভিযানে নিষিদ্ধ সরকারী ওষুধ উদ্ধার
মোঃ মানিক হোসেন: পাবনা-র্যাব-১২,
সিপিসি-২, এর কোম্পানি কমান্ডার শেখ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদর শরৎনগর বাজারস্থ বেসরকারি হাসপাতাল ‘হেল্থ
কেয়ার ক্লিনিক’ থেকে মঙ্গলবার (০২ ফ্রেবয়রি) সকাল ১১ টার দিকে ৩ লাখ টাকার
নিষিদ্ধ ওষুধ ও বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শামছুল আলম দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা
করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল
জাব্বারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাবনা-র্যাব-১২
Subscribe to:
Posts (Atom)